স্ত্রীর মামলায় জেল হাজতে উপজেলা চেয়ারম্যান

২১ জুন, ২০২৪

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেনকে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরা এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি রকিব উদ্দিন আহমেদ তার কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৮ মে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন মাকসুদ হোসেন। ১১ জুন দায়িত্বগ্রহণের ৯ দিনের মাথায় কারাগারে গেলেন তিনি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৩) যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা করেন। ১৯৯৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

বিয়ের সময়ে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রাখেন মাকসুদ। বিষয়টি জানতে পেরে সুলতানা বেগম তাকে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দেন। তবে তার কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি মাকসুদ।

মাকসুদ তার স্ত্রী সুলতানাকে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বারবার চাপ দেওয়া দেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর একটি যৌতুকের মামলা করেন সুলতানা। চলতি বছর ২১ এপ্রিল রাতে মাকসুদ কয়েকজনকে নিয়ে সুলতানার বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলতে চাপ দেন। সেই সঙ্গে সম্পত্তি বিক্রি করলে বাড়িতে তুলবেন বলে প্রলোভন দেখান। এ কথায় রাজি না হওয়ায় মেয়ে শ্রাবন্তিসহ সুলতানা বেগমকে হত্যার হুমকি দেন মাকসুদ।

এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন সুলতানা বেগম। আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।