২৪ জুন, ২০২৪
পৃথিবীর শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজারে নাম লিখিয়েছে। আর এর মধ্যেই অ্যাপলের এআই টুল নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এই টুল চ্যাটজিপিটি ও গুগলকে টেক্কা দিতে সক্ষম।
নতুন এআই টুল নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে আইফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা। অ্যাপলের এই নতুন এআই প্রোডাক্ট সংস্থার সমস্ত ডিভাইসে কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, চ্যাটজিপিটি ও গুগলকে কী ভাবে চ্যালেঞ্জ জানাবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স?
এআই সমুদ্রে ডুব দিতে তৈরি অ্যাপল। তবে তাড়াহুড়া করে নয়, ধীরে সুস্থে। সম্প্রতি ডেভেলপার কনফারেন্স ইভেন্টে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স এআই টুলের ঘোষণা করেছে সংস্থা। ইতিমধ্যে চ্যাটজিপিটি ও গুগল জেমিনি এআই টুলের দৌড়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে। তবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দেরি করে শুরু করলেও, দুই এআই টুলকে জোরদার টেক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ মূলত দুইটি।
প্রথমত, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সংস্থার সমস্ত ডিভাইস, যেমন আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাকে ডিফল্ট অ্যাপ হিসাবে পাওয়া যাবে। আর বিশ্বজুড়ে আইফোন ও ম্যাকের ব্যবহারকারী কয়েক কোটি। ইউজারের দিক দিয়ে প্রথমেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে অ্যাপল।
দ্বিতীয়ত, ইউজারের প্রাইভেসিকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। অর্থাৎ ইউজারের থেকে যতটা সম্ভব কম তথ্য নিয়ে তাকে সর্বোচ্চ আউটপুট দেওয়া। সংস্থা জানিয়েছে, পাওয়ার ক্লাউড কম্পিউট নামক এক সিস্টেম দ্বারা ইউজারের ডেটা সুরক্ষিত হবে। এখনও অবধি আর কোনও এআই সংস্থা প্রাইভেসি নিয়ে বিশদে কিছু জানায়নি।
অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কী করা যাবে?
আর পাঁচটা এআই টুল যা যা করে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সও তাই করবে। প্রাথমিক ভাবে, এআই রাইটিং, ইমেজ এডিটিং ইত্যাদি সব কাজ করা যাবে। চ্যাটজিপিটি, গুগল জেমিনির মতো এটিও জেনারেটিভ এআই দ্বারা তৈরি একটি লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম)। তবে সংস্থার দাবি, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স অনেক বেশি দ্রুত এবং উন্নত।
কী কী ডেটা নেওয়া হবে ইউজারের?
সুরক্ষা নিয়ে অ্যাপল নানা দাবি করলেও, ইউজারের বেশ কিছু ডেটা সংগ্রহ করবে সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে মেসেজ, লোকেশন, ক্যালেন্ডার, ম্যাপ, ফোন কলস, ফটোস ইত্যাদি। এই সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা বুঝেই ইউজারকে তাঁর চাহিদা মতো পরিষেবা দিতে পারবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। তবে সেসব ডেটা মনিটরিংয়ের কিছু নিয়ন্ত্রণ ইউজারের কাছেও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। যা তারা ডিসেবেল করে রাখতে পারেন।
আপনার পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট
অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স আইফোন, আইপ্যাড কিংবা ম্যাক ইউজারদের পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে উঠবে। ইউজারের যা যা নোটিফিকেশন আসে, তাঁর যা মেসেজ সেগুলিকে প্রায়োরিটি অনুযায়ী লিস্ট করবে এবং আপনার সামনে উপস্থাপন করবে। শুধু তাই নয়, ইউজারের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের।
বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী বলা যায়, চ্যাটজিপিটি ও গুগল জেমিনির থেকে আরও বেশি গোছানো পরিষেবা দিতে চলেছে অ্যাপলের নতুন এআই টুল।