চলে গেলেন 'ডাকওয়ার্থ-লুইস' পদ্ধতির সহ-উদ্ভাবক ফ্রাঙ্ক

২৫ জুন, ২০২৪

বৃষ্টিবিঘ্নিত বা খারাপ আবহাওয়ার কারণে ম্যাচের ফল নিষ্পত্তি কিংবা কোনও দলের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য ক্রিকেটে ব্যবহার করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি। এই পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ আর নেই। গত ২১ জুন তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। চারদিন আগে মারা গেলেও আইসিসির পক্ষ থেকে ২৫ জুন ডাকওয়ার্থের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ ডাকওয়ার্থ এবং টনি লুইস এই পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। ১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ২০০১ সালে সংক্ষিপ্ত ওভারের ম্যাচে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের মানদণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি গ্রহণ করে আইসিসি।

২০১৪ সালে অস্ট্রেলীয় পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্নের কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এই পদ্ধতির নামকরণ করা হয় 'ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন'। এর ফলে তা এখন ডিএলএস মেথড নামে পরিচিত। ক্রিকেটে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালের জুনে ডাকওয়ার্থ ও লুইস- উভয়কে ‘অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করা হয়।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে লক্ষ্যমাত্রা গণনার জন্য পূর্বে ব্যবহৃত ‘রেইন রুল’ এর স্থলাভিষিক্ত হয় 'ডিএল পদ্ধতি'। ‘রেইন রুল’ এর বিতর্কিত প্রয়োগ ঐতিহাসিকভাবে সমালোচিত। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল শেষে বৃষ্টি আইন নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। একটা পর্যায়ে ফাইনালে যেতে ১৩ বলে ২২ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ার পর সেই লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রান (রেইন রুলে)।

১৯৩৯ সালে জন্ম নেন ডাকওয়ার্থ। লিভারপুল বিশ্ববিদ্যাল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। সেখান থেকেই ধাতুবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১৪ পর্যন্ত ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।