জবিতে ২০১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

২৮ জুন, ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২০১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছে। যার মধ্যে ১৬৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে প্রাপ্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তরীণ খাত থেকে আয় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা আসবে। ফলে ঘাটতি থাকবে ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ৯৬তম সিন্ডিকেট সভায় প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী। 

২০১ কোটি টাকার বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, যার ভেতরে পিএইচডি গবেষণার জন্য এই প্রথমবারের মতো ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সে হিসেবে গবেষণা খাতে মোট বরাদ্দ বাজেটের ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটের ৫৮ দশমিক ২ শতাংশই (১১৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা) ব্যয় হবে শিক্ষক কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে। 

মেধাবৃত্তির জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা পূর্বে ছিল ৬৫ লাখ টাকা। পরিবহনে ৩ কোটি ৮০ লাখ, লাইব্রেরীর জন্য ২৭ লাখ (পূর্বে ছিল ৭ লক্ষ) এবং চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ (পূর্বে ছিল ১০ লাখ) টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শিক্ষা সফর, দান/অনুদান, অনুষ্ঠানাদিতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সেবা সহায়তায় বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৩.০৮% (৫ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা)। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ কোটি ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা মোট বাজেটের বরাদ্দের ৩.৫০%।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউজিসির মঞ্জুরিকৃত মূল বাজেট বরাদ্দ ৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট ৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেশি। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে চাহিদার তুলনায় ইউজিসি অনেক কম বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে। এমন আর্থিক চাপের মধ্যে একটি ভালো বাজেট তৈরি করা আক্ষরিক অর্থেই কষ্টসাধ্য। 

বাজেটে ঘাটতির বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি, হল ফি ও অন্যান্য তহবিল থেকে যে অংশটুকু আসে সেটাকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের উৎস হিসেব বিবেচনায় রাখি। ২০১ কোটি টাকার বাজেট মধ্যে আমাদের চাহিদা পূরণে ১৭১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা থাকবে, বাকি যে টাকা ঘাটতি রয়েছে সেটা মেটানো আমাদের দ্বারা সম্ভব না, কারণ আমাদের নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস নেই। ঘাটতি পূরণে চাহিদা অনুযায়ী ইউজিসির কাছে আমাদের আবেদন করতে হবে।

উল্লেখ্য, উপাচার্যের উদ্যোগে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে ইউজিসি হতে পারিতোষিক বাবদ ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বাজেটে সেবা সহায়তা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।