সার্ক কারেন্সি ‘সোয়াপ’ চালু করলো ভারত

২৯ জুন, ২০২৪

সার্কভুক্ত দেশের জন্য রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) ২৫ হাজার কোটি রুপির নতুন কারেন্সি সোয়াপ উইন্ডো গঠন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ২০২৪-২৭ মেয়াদে তিন বছরের জন্য আরবিআই সার্ক কারেন্সি সোয়াপ চালু করে। সার্কভুক্ত দেশগুলো হলো, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ২৫০ বিলিয়ন ডলার (২৫ হাজার কোটি রুপির) কারেন্সি সোয়াপ সুবিধা চালু করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। সোয়াপ উইন্ডোর মাধ্যমে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইউরোতে অদলবদল চুক্তি বজায় রাখবে।

এছাড়া ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশগুলো কারেন্সি সোয়াপের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। ভারতীয় মুদ্রাকে সমর্থনের জন্য দেশগুলো বিভিন্ন ছাড় পেয়ে থাকবে। এছাড়া, পৃথক সোয়াপ উইন্ডোর মাধ্যমে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইউরোতে অদলবদল চুক্তি বজায় রাখবে। এর আগে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য চাহিদা বা অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকট মোকাবিলা করতে ব্যাক-আপ তহবিল সরবরাহের জন্য সার্ক কারেন্সি সোয়াপ ফ্যাসিলিটি চালু করে ভারত।

প্রসঙ্গত, এর আগে, ২০১২ সালের নভেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য চাহিদা বা অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকট মোকাবিলায় ব্যাক-আপ তহবিল সরবরাহের জন্য সার্ক কারেন্সি সোয়াপ ফ্যাসিলিটি চালু করে ভারত। তবে কারেন্সি সোয়াপ প্রথম চালু হয় ১৯৮১ সালে বিশ্বব্যাংক ও আইবিএমের মধ্যে। এটি মূলত আন্তঃদেশীয়। দুই দেশের দুই কোম্পানি বিনিময় হারের ঝুঁকি কমানো এবং অপেক্ষাকৃত কম সুদে পুঁজির সহজলভ্যতার কারণে দুই মুদ্রার এই অদলবদল সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্সে এটিকে এক ধরনের ‘হেজিং’ বা নিরাপত্তার ঢাল হিসেবে দেখা হয়। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ কিছু উন্নয়নশীল দেশকে এ সুবিধা দিয়েছিল তারল্যের স্বার্থে।

সোয়াপের প্রক্রিয়ার উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশ ২০২১ সালে সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদল ব্যবস্থার মাধ্যমে রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ধার দেয়। এর বিপরীতে সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা বাংলাদেশ জমা হিসেবে রাখে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা সুদসহ ডলারে ঋণ পরিশোধ করে। তখন জমা রাখা শ্রীলঙ্কার মুদ্রা ফেরত দেয়া হয়।