নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়ন চায় ইউজিসি

২৯ জুন, ২০২৪

নতুন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এজন্য শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পূর্বে প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবকাঠামো নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের কনফারেন্স রুমে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

'বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ' শীর্ষক নলেজ শেয়ারিং কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। অনুষ্ঠানে বাকৃবি’র এপিএ ও ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সাজেদা আক্তার ও কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম রাব্বানি বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষার মান নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে শিক্ষা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছতে সরকার প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা না গেলে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক শ্রমবাজারের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর আরও বলেন, জেলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো একই মানের শিক্ষা প্রদান ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, পর্যাপ্ত রিসোর্সের ব্যবস্থা করা এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া এই অভীষ্ট অর্জন করা কঠিন হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষার কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ মোট জিডিপির ০৬ শতাংশ করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাকৃবি’র এপিএ ও ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সাজেদা আক্তার বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য লক্ষ্যগুলো সুনির্দিষ্ট ও সময়মতো করতে হবে। এছাড়া আগামী অর্থবছরে এপিএতে বাকৃবির অবস্থান সুদৃঢ় করা এবং লক্ষ্য পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, নানা কারণে চাষযোগ্য জমি কমলেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈপ্লবিক গবেষণার কারণে দেশ আজ খাদ্য ও বস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে দেশের কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়কে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এপিএ কর্মপরিকল্পনার আওতায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউজিসির জ্ঞান বিনিময় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তম চর্চাসমূহ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

ইউজিসি'র অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউজিসি'র অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, জেসমিন পারভীন, শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, বাকৃবি'র বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, রেজিস্ট্রারসহ ইউজিসি, বাকৃবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ'র ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।