ঘাটাইলে স্বামীর বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

৩০ জুন, ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জেমি আক্তার (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর আজ রবিবার সকালে জেমিএ স্বামী মনিরকে গ্রেফতার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। 

শনিবার (২৯ জুন) রাতে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেমি উপজেলার দিঘর  ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। মনির সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে। তাদের সোহান (২) নামে এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় , মনির পেশায় একজন শ্রমিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিককলহ আগে থেকেই ছিলো। শনিবার রাতে গৃহবধূ রান্না করতে ছিলো। এসময় ছেলে সোহান কান্নাকাটি করলে স্বামী মনির হোসেন স্ত্রীর সাথে জিদ করে তাকে ঘরে নিয়ে তলপেটে লাথি, কিলঘুসি মারে ও গলায় চেপে ধরে। এসময় গৃহবধূ জেমি প্রসাব ও মলত্যাগ করে দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রথমে জেমিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থা গুরতর হওয়ায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাতে জেমি মারা যান।

নিহতের জেমির বড় বোন নাছিমা বলেন, ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে মনিরের সঙ্গে আমার বোনের  বিয়ে হয়। সে চার মাসের গর্ভবতী ছিল। বিয়ের পর  থেকেই আমার বোনকে নির্যাতন করতো মনির। আগে কয়েকবার গ্রামের মাতাব্বর নিয়ে শালিসকরে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। জেমিকে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো মনির। আমার বোনকে  হত্যার দৃষ্টান্তমূ্লক বিচার চাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বিষয়টা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর এলাকাবাসী ঘাতক মনিরকে নিজ বাড়িতেই বেঁধে রেখেছিলো। পরে থানায় খবর দিয়ে মনিরকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছি।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত স্বামী মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনিরের মাকেও আমাদের হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।