ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জমি আর টাকার যোগান হয়েছিল যেভাবে

০১ জুলাই, ২০২৪

১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বীজ বপণ হয়েছিল। পূর্ববাংলায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের জন্য ওই সময় নয়টি কলেজ থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য ছিল না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শতাব্দীপ্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ওই সময় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শতবর্ষ পার করে এখন ১০৩ বছরে পা দিয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এর জমির মালিকানা নিয়ে এখনো রয়েছে নানা মতবিরোধ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পটভূমি
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ।

এর মাত্র তিন দিন আগে ভাইসরয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়েছিলেন ঢাকার নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, রাজনীতিবিদ শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক ও অন্যান্য কয়েকজন নেতা।

 

ইতিহাসবিদরা বলছেন, বঙ্গভঙ্গ রদ করার ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে তখনকার ব্রিটিশ সরকার।

‘ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী’ বইতে মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, ‘বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’

লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন, ‘স্প্লেনডিড ইম্পেরিয়াল কমপেনসেশন’।

তিনি আরো লেখেন, ‘পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়েছিল, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।’

এর পরে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অর্থ যেভাবে আসে
বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে লন্ডনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ভারত সরকার ১৯১২ সালের ৪ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে বাংলার সরকারকে বিশদ পরিকল্পনা এবং এর আর্থিক খরচ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।

২৭ মে লন্ডনের ব্যারিস্টার রবার্ট নাথানকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। নাথান কমিটি নামে পরিচিত এই কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে।

প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত অবকাঠামোর ইমারতের নকশাসহ ৫৩ লাখ টাকা মূল ব্যয় ধরা হয়। পরবর্তীকালে গণপূর্ত বিভাগ এটিকে ৬৭ লাখ টাকায় উন্নীত করে। এছাড়া ১২ লাখ টাকা বাৎসরিক ব্যয় ধরা হয়।

এই কমিটি মত দেয়, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার, লিডস, লিভারপুল প্রভৃতি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই এই প্রতিষ্ঠানটিও হতে হবে একক আবাসিক শিক্ষাক্ষেত্র। ঢাকার সাতটি কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে কমিটি।

কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকার ছোট প্রকল্প বাস্তবায়নও সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

পরে ১৯১৭ সালে লর্ড চেমসফোর্ড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ খতিয়ে দেখার জন্য মাইকেল স্যাডলারকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করেন।

যার নাম ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন বা স্যাডলার কমিশন। এই কমিশনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিবেদন দেয়।

এই কমিশন মোট ১৩টি সুপারিশ করেছিল, যার একটি ছিল এটি হবে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল হাউজের পাঁচ মাইল ব্যাসার্ধ এলাকাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত করা।

১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইমপেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন।

ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুরু থেকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহর। কিন্তু হঠাৎ করে ১৯১৫ সালে তার মৃত্যু হলে ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী শক্ত হাতে এই উদ্যোগের হাল ধরেন।

শেষ পর্যন্ত ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভায় ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯২০’ অনুমোদিত হয়। গভর্নর জেনারেল সেই আইনে স্বাক্ষর করেন ২৩ মার্চ।

স্যাডলার কমিশনের অন্যতম সদস্য, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক রেজিস্ট্রার স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ ১৯২০ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসাবে নিয়োগ পান।

পরের বছর, ১৯২১ সালের পহেলা জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে যে বিতর্ক
রমনা এলাকায় ঢাকার নবাব পরিবারের দান করা ৬০০ একর জমি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। নবাব সলিমুল্লাহর নামটিই এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে এমন একটি বহুল প্রচলিত তথ্য আমরা সবাই জানি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো রেকর্ডে এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় না।

রমনার যে জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোড়াপত্তন তার পুরোটাই খাস জমি বলে বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ ও ইতিহাসের বইতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ : অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা ও অন্যান্য’ সরদার ফজলুল করিমের লেখা একটি বই।

সরদার ফজলুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার টাকা, জমির উৎস এবং সলিমুল্লাহ হল সম্পর্কে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন।

বইটিতে বলা হয়েছে, আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কোনো মুসলমান ধনীর কাছ থেকেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডাইরেক্টলি কোনো ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রিবিউশন পায় নাই। সলিমুল্লাহ হল যে তৈরি হলো তা পুরোই সরকারের টাকায়। নওয়াব পরিবারের টাকায় নয়; জায়গাতেও নয়। রমনায় যে জায়গায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি, তা পুরোটাই খাসমহল এবং সরকারের জমি, সেটেলমেন্ট রিপোর্টে তাই আছে।’

রমনার যে এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেখান থেকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর পর্যন্ত নবাব পরিবারের জমি ছিল বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রিটিশ সরকার নবাবদের কাছ থেকে জমি রিকুইজিশন করে। পরে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান আমলে সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক জমি, ভবন নিয়ে নেয়। বিনিময়ে এখনকার এলাকাকে বিশ্ববিদ্যালয়কে লিজ দেয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব জমি বা ভবন ছিল সেটার জন্য যে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা ছিল তা কখনো পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়।’

মুনতাসির মামুন জানান, পরীবাগ, আগের পিজি হাসপাতাল এবং বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিও নবাবদের ছিল।

এই ইতিহাসবিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট বিভাগের কাছে কোনো দলিলপত্র না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে।

বাংলাপিডিয়াতে বলা হয়েছে, বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনার আওতায় পূর্ববাংলা ও আসাম সরকারের প্রশাসনিক দফতর প্রতিষ্ঠার জন্য রমনা এলাকায় অধিগ্রহণ করা ২৪৩ একর ভূমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত হয়।

কার্জন হল, ঢাকা কলেজ, নতুন সরকারি ভবন, সচিবালয়, সরকারি ছাপাখানা, সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসস্থল ও ছোটখাটো ইমারত ওই এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

পরবর্তীকালে এ সকল ইমারত, ভূমি ও স্থাপনা বার্ষিক এক হাজার টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ইজারা দেয়া হয়।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে এই জমির মালিকানার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ তার ভাষণে ঢাকার নবাব খাজা সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন বলে বক্তব্য দেন।

এমন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির।

বাছির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ নামে দুই খণ্ডের যে বই প্রকাশিত হয়েছে সেটির সহযোগী সম্পাদক।

বাছির বলেন, ‘শতবর্ষের বইয়ের জন্য বিভিন্ন নথি ঘাঁটাঘাটি করেছি আমরা। ঢাকার নবাব ৬০০ একর জমি দিয়েছেন এমন কোনো তথ্য সরাসরি কোথাও উল্লেখ নেই।’

‘তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় জমি পেল কোথা থেকে? তখন দেখতে পাই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সময় জমি লিজ নিয়েছে। এই লিজের বিনিময়ে যে পয়সা-কড়ি দেবার কথা সেটাও দিয়েছে।’

১৯৮১ সালে অধ্যাপক এম এ রহিম ‘হিস্ট্রি অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’ নামে একটি বই লিখেছেন। এতে তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমি ইজারা নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বইটিতে লিজ নেয়ার রেকর্ডও নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

বাছির বলেন, ‘এটি কি মিথ নাকি রিয়েলিটি? এটা আমাদের তালাশ করতে হবে। তাই কোনো উৎস থেকে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে বলাটা ঠিক হবে না। যদি কোথাও না পাই তবে কিভাবে বলি নবাব সলিমুল্লাহ এই ৬০০ একর জমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে?’

তবে এই অধ্যাপক মনে করছেন, ‘বিষয়টি এমন হতে পারে ব্রিটিশ সরকার যখন ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গে রাজধানী করে তখন নবাবরা হয়তো সরকারকে কোনো অনুদান দিয়ে থাকতে পারেন।’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাবদের কাছ থেকে সরাসরি কোনো জমি পেয়েছে এমন কোনো তথ্য উপাত্ত নেই বলে দাবি করেন বাছির।

প্রতিষ্ঠার পরই আর্থিক সঙ্কটে
প্রতিষ্ঠার পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম যে সমস্যার মুখোমুখি হয় তা হলো অর্থনৈতিক সঙ্কট। কারণ বাংলা সরকার আইনসভার অনুমোদন ছাড়া সরকারি খাত থেকে কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারত না।

নাথান কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাৎসরিক ব্যয় ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও বাংলার তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী প্রভাস মিত্র পাঁচ লাখ টাকা কমিয়ে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রমেশ চন্দ্র মজুমদারের লেখা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : পূর্ব-কথা’য় বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী প্রভাস মিত্র সীমিত টাকার মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খরচ চালাতে নির্দেশ দেন। এর ফলে শিক্ষকদের বেতন কমিয়ে দিতে হলো।

ওই বইতে রমেশ চন্দ্র মজুমদার লিখেছেন, ‘অধ্যাপকদের বেতন ছিল এক হাজার থেকে আঠার ‘শ টাকা। সেটি কমিয়ে করা হলো এক হাজার টাকা। এভাবে সব শ্রেণির শিক্ষকের বেতন কমে গেল।’

এই খরচ কমানোর কথা বাংলাপিডিয়াতেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার ক্যাপিটাল খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকার তহবিল বাংলা সরকারের কাছে হস্তান্তর করলেও প্রভাস মিত্র ওই তহবিল প্রাদেশিক তহবিলের সাথে মিলিয়ে মাত্র নয় লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেন।

তার যুক্তি ছিল যে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রচুর সরকারি ইমারত ও বিস্তর জায়গা-জমি বাংলা সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে।
সূত্র : বিবিসি