সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবে ছাত্রলীগের নেতাসহ নিখোঁজ ৩

২৬ জুলাই, ২০২৪

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার মাঝপথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও ছাত্রলীগের নেতাসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর সংঘাতের জের ধরে দ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দ্বীপের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, সাগরে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন - সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ সাগর, আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ ও আজম আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল।

এর আগে ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতার জের ধরে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনবাসীর উত্তেজনা তৈরি হয়। 

সেন্টমার্টিন থেকে কয়েকজন বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলে তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যাওয়ার সময় তাদের বাধাও দেন। কিন্তু ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরলে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে তাদের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে কোস্টগার্ড। এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান তারা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, কোস্ট গার্ডের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধ নিরসনে কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে কোস্ট গার্ডের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারে কোস্ট গার্ড কোনো তৎপরতা চালাচ্ছে এমন কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।