ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি অর্থনীতি সমিতির

২৭ জুলাই, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে স্বার্থান্বেষীদের দ্বারা ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সংগঠনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলন চলাকালে স্বার্থান্বেষীরা ধ্বংসলীলা চালায়। এই আন্দোলন চালাকালে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ভীত-সন্ত্রন্ত হয়ে পড়েন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিনই কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে, মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করছে এবং অফিস-আদালত, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুতই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং  কারফিউ উঠে যাবে। কোটা আন্দোলনকারীদের দারি পূরণ হয়েছে। এখন শিক্ষাঙ্গনগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।

আরো বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে ৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সেতু ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়, বিভিন্ন টোল প্লাজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, মহাখালীর ডাটা সেন্টার, মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ অফিস, বিআরটিএ ভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এছাড়া, বহু ব্যাংক, দোকানপাট, অফিস, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সকল কয়েদিকে বের করে দিয়েছিল। এসব ধ্বংসলীলা যারা সংগঠিত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে, এই বিচার প্রক্রিয়ায় যেন কোনো নির্দোষ-নিরাপরাধী কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন।

সকল প্রকার গুজব ও সম্ভাব্য সন্ত্রাসী ঘটনা সম্বন্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে, উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সকল পক্ষকে একত্রিত হয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের দমন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সুস্থ টেকসই গণতান্ত্রিক দেশ গঠনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।