মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

২৭ জুলাই, ২০২৪

গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ২০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা জানান, জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা ও সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ। আজ শুক্রবার সকালে সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের সমর্থক হিমু মোল্যার লোকজন বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজার সমর্থক রহমান মোল্লাকে ধাওয়া করে।

পরে সাবেক চেয়ারম্যান অপর সমর্থক ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল মোল্যা ও তার ভাইসহ অন্যান্যরা বর্তমান চেয়ারম্যানের অপর সমর্থক স্বপন মোল্লা ও তার ছেলে সেতু মোল্যাকে কুপিয়ে আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকালে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সংঘর্ষে মারাত্মক আহত স্বপন মোল্যা (৬০), রাসেল মোল্যা (৩৫), বশার মোল্যা (৩৫), আনিস মোল্যা (২৫), জুয়েল মোল্যা (৩০), আয়ুব শেখ (৪৫), সেতু মোল্যা (২৩), ফরিদ মোল্যা (৬০), টুলু মিল্লিক (৫০), আরিফ মোল্যা (৬৫), কেরামত মোল্যাসহ (৮০) ২০ জনকে ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জালালাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজার সমর্থকেরা আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের উপস্থিতিতে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। আমার পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পযর্ন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।