যেসব জেলায় ১১ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে আজ

২৮ জুলাই, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে গত ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সরকার। ইতোমধ্যে ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ এসেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও নতুন করে আরও এক দফা কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

সরকার বলছে, সাবধানতার কারণে এখনো কারফিউ বহাল আছে। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রণে না আসবে, ততদিন কারফিউ বহাল থাকবে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবস রোববার থেকে মঙ্গলবার কারফিউ শিথিলের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। এই তিনদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

গতকাল শনিবার রাতে ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে, স্বাভাবিক হয়ে আসছে। একটা পর্যায়ে জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসলে আমরা কারফিউ তুলে নেব।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ব্যাপক সহিংস রূপ ধারণ করলে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসায় প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল করা হয়। ধাপে ধাপে বাড়ে শিথিলের সময়।

গত ২০ ও ২১ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকে কারফিউ। ২২ জুলাই সোমবার শিথিলের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত করা হয়। পরদিন ২৩ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকে। আর ২৪ ও ২৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল রাখা হয়। এরপর ২৬ ও ২৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং গাজীপুর জেলায় পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রোববার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। দেশের অন্য জেলাগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।