চবির নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের ৫ দাবি

৩১ জুলাই, ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক ঐক্য।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৭৫ শিক্ষকের সম্মিলিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও দাবি উত্থাপন করা হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি যৌক্তিক ও অরাজনৈতিক আন্দোলন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক রূপ দিয়ে আন্দোলনকারীদের গতগ্রেপ্তার চালিয়ে সেটা দমানোর নিকৃষ্ট পন্থা গ্রহণ করছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক, অযৌক্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।

বিবৃতিতে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো—

ক) জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

খ) অনতিবিলম্বে গণগ্রেপ্তার, অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

গ) গ্রেপ্তারকৃত আন্দোলনকারীদের শিগগিরই মুক্তি দিতে হবে। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে।

ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে অছাত্র ও বহিরাগতদের বহিষ্কার করে মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন করতে হবে এবং হল খুলে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঙ) অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবির নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবির আন্দোলনে সশস্ত্রবাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের যৌথ বর্বর হামলায় আমাদের শতশত শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারের অধিক আহত হয়েছে। এতে আমরা শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত ব্যথিত। অভিভাবক হিসেবে আমরা সবসময় তাদের পাশে ছিলাম এখনো থাকবো। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত সব শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তি এবং নতুন করে আর কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার না করার জোর দাবি জানাচ্ছি।