ইসরায়েলের হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত

০২ আগস্ট, ২০২৪

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ইসরায়েল গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকার একটি স্কুলে হামলা চালালে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা রিপোর্ট করেছে, গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ার একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দালাল মুগরাবি স্কুলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য আল-আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অবশ্য গাজার স্কুলগুলোতে ইসরায়েলের হামলা নতুন নয়। ইসরায়েলি বাহিনী ধারাবাহিকভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে। এর আগে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের একটি স্কুলে গত জুলাই মাসে ইসরায়েলি হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছিল। স্কুলটিতে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।

এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হাজার ৪৮০ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯১ হাজার ১২৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।