এবার বিসিবিকে কালো থাবা থেকে মুক্ত করার দাবি রুবেল ও ইমরুলের

০৭ আগস্ট, ২০২৪

গত সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিপাকে পড়েছে দলের নেতাকর্মীসহ অধীনস্থ কর্মকর্তরা। ফলে গা বাঁচাতে অনেকে মুখোশ পাল্টে ফেলার চেষ্টা করছে। যার শুরুটা করেছেন বিসিবির সাবেক দুই নির্বাচক এবং বোর্ড কর্মকর্তা মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিসিবিতে যোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি নিয়ে মিরপুরে হাজির হন ক্রীড়া সংগঠকরা। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নান্নু এবং বাশার। এরপর গণমাধ্যমে নান্নু বলেন, বিসিবিতে সুশাসন চান তিনি। যার মাধ্যমে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারেন।

অন্যদিকে বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে। এটা আমাদের স্বপ্ন।’ এই দুই ক্রিকেটারের মুখে এমন কথা শুনে বসে থাকতে পারেননি, বিসিবির দ্বারা অবহেলিত দুই তারকা ক্রিকেটার ইমরুল কায়েক এবং রুবেল ইসলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দুজন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে রুবেল লিখেছেন, গত কয়েক বছরে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা দেখলাম বলতেছে দেশে সুশাসন চায়। শুধুমাত্র অপছন্দের তালিকায় থাকার কারণে অসংখ্য ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়া ব্যক্তিরা এখন ক্ষমতার পালাবদল দেখে রং বদলানোর চেষ্টায় আছে।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়েও লিখেছেন রুবেল। একসময়ের তারকা এই পেসার বলছেন, অবৈধ ক্ষমতার অংশ ছিলেন তিনি।

রুবেল লিখেছেন, ‘একইভাবে চান্দিকা হাতুরুসিংহেসহ তার অবৈধ কাজে সহায়তা করে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করা ব্যক্তিদের অন্তত আর কোনো দায়িত্বে দেখতে চাই না।’

এদিকে বিসিবির কঠোর সমালোচনা করেছেন আরেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। তিনিও এক পোস্টে লিখেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে আশা করি সবাই ভালো আছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও ক্ষমতার কালো থাবা থেকে মুক্ত করতে হবে।

‘সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম বোর্ড কর্মকর্তারা মুখোশ পাল্টে এখন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। এদের কারণে ক্রিকেটের যে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সবাই জানেন। কত প্লেয়ারের ক্যারিয়ার যে ধ্বংস করছে তারা। শুধু তাদের পছন্দের তালিকায় না থাকার কারণে। খেলোয়াড়দের সাথে ন্যূনতম সম্মান দেখানো হয় না।’

তিনি আরও বলেন, বোর্ডের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা যথেষ্ট করেছেন, দেশের ক্রিকেটকে দেওয়ার আপনাদের আর কিছু নেই। তারুণ্যের হাতে ছেড়ে দিন ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাদের হাত ধরেই আসবে বড় সাফল্য, যেখানে মাথা উঁচু করে থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ইনশা আল্লাহ।