কক্সবাজার সদর থানার কার্যক্রম শুরু

১০ আগস্ট, ২০২৪

পাঁচদিন পর কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগদান করায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়। থানার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা। শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার সদর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কাজে যোগদান করতে শুরু করে।

শনিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।

থানায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, কম্পিউটার স্থাপনসহ কর্মকর্তারা থানার নিজ দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছেন। অচিরেই সকল কিছু কাটিয়ে উঠে পূর্ণাঙ্গভাবে থানার কার্যক্রম শুরুসহ জনগণের সেবাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন থানায় কর্মরতরা।

এ দিকে থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীদের মাঝে।

কক্সবাজার পর্যটন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়া খুব দরকার। পুলিশের কার্যক্রম না থাকায় অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে পর্যটন জোন। সেখানে যে যেমন পারছে চাঁদাবাজি, হুমকি ও টাকা আদায় করছে৷ সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে গেছে। পুলিশের চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে বলে শুনেছি। এবার তাদের দ্রুত থানায় ফেরা দরকার।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ও অফিসারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সদর থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

সেনাবাহিনী দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মো. হাসান তানভীর বলেন, শুক্রবার থেকে সদর থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মানুষ এখন থেকে সেবা পাবেন। মানুষের নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজি বন্ধে যা যা দরকার আমরা করব। থানা থেকে লুটকৃত মালামাল ছাত্ররা বিভিন্নভাবে উদ্ধার করে আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। আশা করছি, ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এ দিকে গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করলে নিরাপত্তার শঙ্কায় থানার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা কক্সবাজার সদর থানায় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। সেই সঙ্গে থানায় অবস্থিত গাড়ি ও মালামালে ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

অপরদিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনসহ সংস্কারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন পুলিশের একটি বড় অংশ।