এসব ফল খেলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে

১০ আগস্ট, ২০২৪

অনেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। তবে চিন্তা নেই, কয়েকটি ফল নিয়মিত খেলে অনায়াসে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারবেন। যার ফলে দূরে থাকবে একাধিক সমস্যা। জানুন এমনই কয়েকটি ফল সম্পর্কে। যেগুলো নিয়মিত খেলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে। 

অ্যাভোকাডোর নেই তুলনা​
সেরার সেরা একটি ফল হল অ্যাভোকাডো। এতে রয়েছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান শরীরে প্রদাহ কমায়। যার ফলে বাড়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা। কাছে ঘেঁষতে পারে না শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা।

তবে এখানেই শেষ নয়, এই ফল হলো উপকারী সব ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। আর এই কারণেই অ্যাভোকাডো খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতিও এক ধাক্কায় অনেকটাই মিটে যায়। তাই তো বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

​আনারসের শরণাপন্ন হন​
বর্ষা চলছে। তবে এখনও বাজারে দেখে মিলছে আনারসের। আর এমন সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ফল কিনে আনুন। তারপর সপরিবারে আয়েস করে খান। তাতেই ফুসফুসের হাল ফিরবে। আসলে এই ফলে রয়েছে উপকারী কিছু খনিজ। আর এসব খনিজ ফুসফুসের স্বাস্থ্য ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ভিটামিনের গুণে বাড়ে ইমিউনিটি। সুস্থ থাকে দেহের একাধিক অঙ্গ। তাই আর সময় নষ্ট না করে নিয়মিত আনারস খাওয়া শুরু করে দিন।

​কলার জুড়ি মেলা ভার​

কম পয়সার এই ফলের পুষ্টিগুণ কিন্তু সেরার সেরা। এতে রয়েছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এমনকি এই ফলে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। আর মূলত এই দুই উপাদানই ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যার ফলে কলা খেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, এই ফল নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকে পেট। সেই সঙ্গে শরীরে এনার্জির ঘাটতিও এক ধাক্কায় অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হয়। তাই আপনার রোজের ডায়েটে অবশ্যই কলাকে জায়গা করে দিন।

সেরার সেরা আপেল
কথায় আছে রোজ একটা করে আপেল খেলে একাধিক রোগের ফাঁদ অনায়াসে এড়িয়ে চলা সম্ভব। আর এই কথাটা একবারে সত্যি। কারণ, এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী সব ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এসব উপাদান সরাসরি স্বাস্থ্যের হাল ফেরায়। শুধু তাই নয়, এতে মজুত কুয়েরসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে বৈকি! তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই আপেল খাওয়া শুরু করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

আঙুর খেতে ভুলবেন না​
আমাদের অতি প্রিয় আঙুর ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই অঙ্গ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। যার ফলে ঠিকঠাক কাজ করে ফুসফুস। তাই আপনি চাইলে নিয়মিত এই ফল খেতেই পারেন। তবে ডায়াবিটিস রোগীরা আবার এই ফল রোজ রোজ খাবেন না। এই ভুলটা করলে উপকার তো মিলবেই না, উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।