ঢাবিসহ ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ

১১ আগস্ট, ২০২৪

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর পাঁচদিনে পদত্যাগ করেছেন অন্তত নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পদত্যাগ করা উপাচার্যের তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। স্বাভাবিক সৌজন্যতার জায়গা থেকেই আমি এই আলোচনা করেছি। আমার পদত্যাগপত্র আগেই তৈরি ছিল। আমার মনে হয়েছে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই আমার পদত্যাগ করা দরকার।

এর আগে, শুক্রবার ঢাবি প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করেন।

এ ছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছি। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। বাকি যারা আছেন, সবাই পদত্যাগ করবেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবি শাখার সমন্বয়করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য, সহউপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ দপ্তরগুলোর প্রশাসকদের পদত্যাগ করার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।

৫ আগস্টের পর ঢাবি ও শাবিপ্রবি ছাড়া আরো সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেন। এ তালিকায় রয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

৬ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। একই দিন একই সিদ্ধান্ত নেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। এ দুই উপাচার্য তাদের পদত্যাগপত্রে কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

৭ আগস্ট পদত্যাগ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। ৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আবদুস সালাম। তারা শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন।

৯ আগস্ট হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম কামরুজ্জামান ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ পদত্যাগ করেন।