কুরস্ক প্রদেশে ইউক্রেনের আক্রমণ প্রতিহতের দাবি রাশিয়ার

১১ আগস্ট, ২০২৪

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, কুরস্ক প্রদেশে ইউক্রেনের নজিরবিহীন আক্রমণের পঞ্চম দিনে তারা ইউক্রেনকে অগ্রসর ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে একটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে হামলার কারণে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৭ থেকে ১১ মাইল দূরের তিনটি গ্রামে - ইভাশকোভস্কয়ে, মালায়া লোকন্যা এবং ওলগোভকায় সংঘর্ষ চলছে। এটা ইউক্রেনের অগ্রগতিকে নির্দেশ করে।

রাশিয়ার এফএসবি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা কুরস্ক ও দুই প্রতিবেশী ওব্লাস্ট, ব্রায়ানস্ক এবং বেলগোরডে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এটার ফলে কর্তৃপক্ষ অঞ্চলগুলোতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে।

ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারা এই আক্রমণ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে। তবে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রতিরক্ষা কর্মীদের সাথে এই অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইউক্রেনের নিয়মিত বাহিনী সুমি প্রদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার ভেতরে প্রবেশ করে এবং ১৩ মাইল পর্যন্ত অগ্রসর হয়। তারা কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করে এবং একটি রুশ কনভয় ধ্বংস করে। কনভয়টি সীমান্ত থেকে ২৫ মাইল দূরে ছিল।এই প্রথমবারের মতো ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে নিয়মিত বাহিনী নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে।

একসময় পশ্চিমা সমর্থকদের মধ্যে এটা উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করতো। তবে, শুক্রবার রাতে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও $১২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে যার মধ্যে আর্টিলারি শেল, রকেট ও স্টিংগার মিসাইল রয়েছে।

এই আক্রমণের পাশাপাশি, শনিবার একটি ভিডিওতে পাঁচজন সৈন্যকে ইউক্রেন ও জর্জিয়ার পতাকা হাতে বেলগোরড প্রদেশের একটি ক্লাব ভবনের সামনে দেখা গেছে। যা রাশিয়ার সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রায় ২ মাইল ভিতরে এবং এই সপ্তাহের আগ্রাসনের স্থান থেকে ৪৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত।

কুরস্ক অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ জানিয়েছেন, শুক্রবার এক ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি ট্রান্সফরমার সাবস্টেশনে আঘাত করলে সেখানে আগুন ধরে যায়।

এর ফলে কিছু ফ্রন্টলাইন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যার মধ্যে কুরচাটোভও রয়েছে, যেখানে কুরস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অবস্থিত।

রাশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারমাণবিক প্ল্যান্টে কোনো প্রভাব পড়েনি এবং এটি স্বাভাবিকভাবে চলছে। তবুও, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সব পক্ষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে একটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।