দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন-ফিলিপাইনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

১১ আগস্ট, ২০২৪

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলকে ঘিরে আবারও বিরোধে জড়িয়েছে চীন ও ফিলিপাইন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আকাশ সীমানায় দুই দেশের দুই বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের পর শনিবার (১০ আগস্ট) এই বিরোধে জড়ায় তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী চীনের বিমান বাহিনীর ‘বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে, চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বলেছে, তারা পেশাদার এবং আইনি পদ্ধতি মেনেই কাজ করেছে।

২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই প্রথম ফিলিপাইন নৌবাহিনী বা উপকূলরক্ষী জাহাজের বিপরীতে চীনা বিমানের বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন।আকাশ সীমানা নিয়ে প্রথমবারের মত বিরোধে জড়িয়েছে দুই দেশ।

ফিলিপাইনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চীনা বিমান বাহিনীর দুটি বিমান একটি বিপজ্জনক কৌশল অবলম্বন করে এবং বৃহস্পতিবার সকালে স্কারবোরো শোলের ওপর একটি নিয়মিত টহল পরিচালনাকারী ফিলিপাইনের বিমান বাহিনীর পথে অগ্নিসংযোগ করে।

ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান রমেরো ব্রাউনার বলেন, ‘এই ঘটনায় নিজ জলসীমা রক্ষায় দায়িত্বরত সদস্যদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, চীনা বিমানটি বৈধ ফ্লাইট পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করেছে এবং বিমান নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে, পিএলএ’র দক্ষিণ থিয়েটার কমান্ড বলেছে, ফিলিপাইনের বিমান, চীনের বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও, হুয়াংইয়ান দ্বীপের আকাশসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে এবং তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত করেছে।

তাদের দাবি, চীনের নৌ ও বিমান বাহিনী আইন মেনেইশনাক্তকরণ, ট্র্যাকিং, সতর্কতা এবং বিতাড়নের কাজ করেছে।

পিএলএ ফিলিপাইনকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।