মাছের ডিম হার্ট অ্যাটাক বাড়ায়

১২ আগস্ট, ২০২৪

অনেকের প্রিয় মাছের ডিম। মাছের ডিমে রয়েছে প্রোটিনের ভা-ার। আরও আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তবে এসবের পাশাপাশি এই খাবারে বেশ কিছুটা পরিমাণে কোলেস্টেরলও থাকে। আর এই উপাদান হার্টের ক্ষতি করে। তাই নিয়মিত মাছের ডিম খেলে হার্টের অসুখ হতে পারে।

ভেজে খেলে ক্ষতি বেশি-
অনেক বাড়িতেই মাছের ডিমের বড়া ছাঁকা তেলে কড়া কড়া করে ভাজা হয়। তারপর তা আয়েস করে খান পরিবারের সদস্যরা। এটা করা যাবে না। মাছের ডিম এমনিতেই শরীরের জন্য খুব একটা উপাদেয় নয়। এর ওপর যদি এই খাবার ভেজে খাওয়া হয়, তাহলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না। এমনকি এভাবে মাছের ডিমের বড়া খাওয়ার কারণে হার্টসহ শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি করে। এভাবে না খেযে বরং মাছের ভেতরেই ডিম থাকতে দিন। তারপর তা অল্প তেল, মসলা সহযোগে রেঁধে মাছের সঙ্গে খান। তাতে ক্ষতির আশঙ্কা কমবে।

মাছের ডিমের বড়া কম খাবেন-
মাছের ডিমের বড়া বিষ নয়। তাই একজন সুস্থ মানুষ চাইলে সপ্তাহে একবার অনায়াসে মাছের ডিম খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরল থাকলে এই খাবার ৬ মাসে ৯ মাসে একবারের বেশি খাবেন না। আর যাদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি রয়েছে বা যারা ইতিমধ্যেই হার্টের অসুখে আক্রান্ত, তারা এই খাবার এড়িয়ে চলুন। নইলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।

মাছ হলো মাস্ট-
শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলে মাছের ডিম খান না খান, মাছ অবশ্যই খেতে হবে। কারণ, এই প্রাণিজ খাবারে রয়েছে প্রোটিনের ভান্ডার। এমনকি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ। আর এসব উপাদান কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। রোজের ডায়েটে মাছ রাখবেন। এ ক্ষেত্রে ছোট মাছ বা দুই কেজির কম ওজনের মাছ খেলে উপকার মিলবে বেশি।

হালকা করে রাঁধুন-
অল্প তেল, মসলা দিয়ে মাছ রেঁধে খান। পারলে এই প্রাণিজ খাবারের ভাঁপা বানিয়েও খেতে পারেন। তাতে উপকার মিলবে। তবে অত্যধিক তেল, মসলা সহযোগে মাছের পদ রাঁধলে লাভ পাবেন না। উল্টো হার্টসহ দেহের একাধিক অঙ্গের গুরুতর ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বাড়বে। হালকা তেল মসলায় মাছ রেঁধে তবেই খান।