জয়পুরহাট থানার উদ্ধার হওয়া মালামাল পুলিশের কাছে হস্তান্তর

১২ আগস্ট, ২০২৪

জয়পুরহাট সদর থানা থেকে উদ্ধার হওয়া মালামাল পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে আনসার বাহিনী। রোববার বিকেলে এসব মালামাল হস্তান্তর করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদা।

উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে একটি অস্ত্র (বন্দুক), ৯টি টিয়ার গ্যাস শেল, একটি ল্যাপটপ, একটি চাবির গোছা, একটি হাত কড়া, ৫টি ফাইল, ৪টি মোটরসাইকেল, ২টি কাঠের টেবিল, ৪ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ১৩টি ওয়াকিটকির ব্যাটারি, একটি ক্যামেরা, ৩টি বাটন মোবাইল ফোন ও একটি লাইটার।

জানা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের শিকার হয়েছে জয়পুরহাট সদর থানা। গত ৫ আগস্ট বিকেলে তারা থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে এই থানা। এমন পরিস্থিতিতে থানায় আনসার ও ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এরই মধ্যে পুলিশ সংস্কারসহ ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভসহ কর্মবিরতি পালন করছিলেন পুলিশের সদস্যরা। পরবর্তীতে গত ৯ আগস্ট দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সালেহীন তানভীর গাজী, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম, সেনাবাহিনীর জয়পুরহাটের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়ের জয়পুরহাট সদর থানা পরিদর্শন করেন। সেই দিনই থানার কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে শুরু হলেও পুলিশ সদস্যরা ফিরেননি। রোববার দুপুরে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরে মালামাল বুঝে নিয়ে পুলিশ লাইন্সে যান।

এ বিষয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদা বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে এ জেলার পাঁচটি থানা ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আনসার ও ব্যাটালিয়ন সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। জয়পুরহাট সদর থানায় দায়িত্ব পালনের সময় আমরা যেসব মালামাল পেয়েছি তা থানা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জয়পুরহাট থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, থানা থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু মালামাল আনসাররা হস্তাস্তর করেছেন। থানায় বসার মতো তেমন পরিস্থিতি নেই। তবে সোমবার থেকে থানায় বসা হবে।