এবার কঙ্গনার তোপের মুখে রাহুল!

১২ আগস্ট, ২০২৪

আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির চেয়ারম্যানের ‘যোগসূত্র’ নিয়ে এবার পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটল বিজেপি। 

শনিবার (১০ আগস্ট) আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই ভারতের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগেছিল বিরোধী দলগুলি। 

সেবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ এবং সরকারের কৈফিয়ৎ দাবি করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার পাল্টা রাহুলকে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ এবং ‘বিষাক্ত’ বলে কটাক্ষ করলেন হিমাচল প্রদেশের মন্ডী আসনের বিজেপি সংসদ সদস্য ও বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

রবিবার (১১ আগস্ট) রাহুল দাবি করেছিলেন, ভারতের শেয়ারবাজার বিপদের মধ্যে রয়েছে। তার কারণ ব্যাখ্যা করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি আপসের পথে হেঁটেছে। 

প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গের গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তার স্বামী ধবল বুচের। ২০১৭ সালে সেবিতে যোগ দেন মাধবী। 

রিপোর্টে এ-ও দাবি করা হয়, সেসময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সব বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন তার স্বামী। হিন্ডেনবার্গের এই অভিযোগকে উদ্ধৃত করেন রাহুল। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘চরিত্রহননের চেষ্টা’ বলে উড়িয়ে দেন বুচ দম্পতি। কিন্তু রাজনৈতিক চাপ থেমে থাকেনি।

রবিবার সকালে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কঙ্গনা রাহুলকে আক্রমণ করে লেখেন, উনি (রাহুল) একজন খারাপ, বিষাক্ত এবং ধ্বংসাত্মক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে দেশকে ধ্বংস করে দেওয়াই তার লক্ষ্য।

কঙ্গনার দাবি, হিন্ডেনবার্গ ভারতের শেয়ারবাজার নিয়ে ভুল বার্তা দিচ্ছে আর রাহুল সেটিকেই সমর্থন করছেন।

রবিবার রাহুল বলেছিলেন, এখনো সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ কেন এখনও ইস্তফা দিলেন না? যদি (শেয়ার বাজারে) বিনিয়োগকারীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ হারান, তবে কে দায়ী থাকবেন- প্রধানমন্ত্রী মোদি, সেবির চেয়ারপার্সন, নাকি গৌতম আদানি?

মোদির নাম টেনে রাহুলের আক্রমণ করাকে ভাল চোখে দেখছে না বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্বেষ থেকেই এমন কাজ করছেন রাহুল।