শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমার নির্দেশ

১৫ আগস্ট, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গুলিতে নিহত মুদি দোকানদার আবু সায়েদ নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকি আল ফারাবী এ দিন নির্ধারণ করেন।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি (ডিএমপি) প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার মো. বিপ্লব কুমার সরকার।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এসএম আমীর হামজা শাতিল গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এটিই তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা। এটির শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি প্রথম তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

পরে অভিযোগকারীর আইনজীবী মামুন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় নাম উল্লেখ না করে উচ্চপদস্থ পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগকারী সায়েদের আত্মীয় নন। তিনি স্বেচ্ছায় মামলা করেছেন।’

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ‘নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়িতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই মামলা করেছেন।’

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।’