ভারতে নারী চিকিৎসকের পর এবার নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যা

১৬ আগস্ট, ২০২৪

ভারতের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিত্‍সক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গোটা রাজ‍্য তথা ভারত জুড়ে আন্দোলনের মধ্যেই আবারও ঘটল ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা। এবার নৃশংসতার বলি হলেন ৩৩ বছর বয়সী এক নার্স। এ ঘটনায় ইতোমধ‍্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায় এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ( ১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

এই ঘটনায় ধর্মেন্দ্র কুমার নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১৪ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র কুমার বেরেলির বাসিন্দা এবং সে একজন দিনমজুর। তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় নার্সকে যৌন নিপীড়ন ও খুন করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী নার্স নৈনিতালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। ঘটনার দিন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় তাকে একা পেয়ে অনুসরণ করতে থাকে ধর্মেন্দ্র। এর পর তাকে জোর করে ঝোপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

উত্তর প্রদেশের বিলাসপুরে ভাড়া বাসায় ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই নার্স । আগের রাতে বাড়িতে না ফেরায় বুধবার (৩১ জুলাই)  নিহত নার্সের বোন স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 
গত ৮ আগস্ট ওই নার্সের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার একটি খালি প্লটে তার লাশ পাওয়া যায়। 
 ভিকটিমের ফোন ট্র্যাক করার পর পুলিশ রাজস্থান থেকে অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্রকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মাদকাসক্ত এবং ওই নার্সকে সে চেনে না। ঘটনার দিন তাকে একা যেতে দেখে নার্সকে থামায় সে।

উধম সিং নগরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মঞ্জুনাথ টি সি বলেন, ধর্মেন্দ্র ওই নার্সকে পাশের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যান। ধর্ষণের পর নার্সের ওড়না দিয়েই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। 

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই নার্সের হাত ব্যাগে থাকা ৩ হাজার রুপিও চুরি করেন ধর্মেন্দ্র।

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডিউটির সময় একজন নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যে এই ঘটনা ঘটল। গত সপ্তাহে সরকারি হাসপাতালের সেমিনার হলে ৩১ বছর বয়সী ওই নারীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ পাওয়া যায়।