সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ২০০ জনকে আসামি করে মামলা

১৬ আগস্ট, ২০২৪

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে সেলুন শ্রমিক রিপন শীল নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক এমপি মো. আবু জাহিরসহ ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) নিহত রিপন শীলের (৩০) মা রুবি রাণী শীল হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম জানান, মামলা এফআইআরভুক্ত হওয়ার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন সাবেক এমপি আবু জাহিরের ছেলে ইফাত জামিল, ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ দাস, মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, মুশফিউল আলম আজাদ ও আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, সামছুল হক, ফয়জুর রহমান রবিন, মিজানুর রহমান শামীম, পৌর কাউন্সিলর গৌতম রায়, আব্দুর রহমান, সাইদুর রহমান, মহিবুর রহমান মাহি, সজল খান, মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, আশিক মিয়া, আশরাফ হোসেন হারুন, মিজানুর রহমান আরিফ, নিলাদ্রী শেখর টিটু, পংকজ সাহা, সুলতান মাহমুদ, বুলবুল চৌধুরী, বাবুল মিয়া, শাহিন মিয়া, নাজমুল হুদা ও জনি মিয়া।

৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ প্রথম দিন দুপুর ১২টায় বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনের রাস্তায় হাজারো ছাত্র-জনতা অবস্থান নেন। তারা টাউন হলের দিকে এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষের সময়  রিপন শীল গুলিবিদ্ধ হন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।