ঢাবির হল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বাকি ১৮ লাখ, তালিকা ভাইরাল

১৬ আগস্ট, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে হলটির ছাত্রলীগের ৪৮ নেতাকর্মীর বাকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের পর থেকে ৫ বছরে ছাত্রলীগের নেতারা এই পরিমাণ বাকি খেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ক্যান্টিন মালিক।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) হল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়- হল ছাত্রলীগের একেকজন নেতার নামে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা বাকি খাওয়ার রেকর্ড।

তালিকা অনুযায়ী, এই টাকার মধ্যে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকই বাকি খেয়েছেন সাড়ে ৫ লাখ টাকার বেশি। তার মধ্যে সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বাকি খেয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সাধারণ সম্পাদক মনেম শাহরিয়ার মুন খেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

এছাড়া বাকির তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান রিফাত ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহিম সরকার ৫৫ হাজার টাকা, হল সংসদের সাবেক ভিপি আবদুল আলীম ৬০ হাজার টাকা, হল ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক কামরুল শুভ ১৭ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবছার হোসেন রানা ৪৫ হাজার টাকা, বাইজিদ ৪৫ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু ১২ হাজার টাকা, ছাত্রলীগ নেতা হারুন ৭০ হাজার ও উচ্ছ্বল ৮৫ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন।

এছাড়াও বাকির তালিকায় নাম আসা ব্যক্তিদের সর্বনিম্ন বাকির পরিমাণ আড়াই হাজার টাকা।

এ বিষয়ে ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ক্যান্টিন থেকে ১৭ লাখ টাকার বেশি বাকি খেয়েছেন। আমাকে একদম পথে বসিয়ে দিয়েছেন তারা। আমরা গরিব মানুষ, ১ লাখ টাকাও অনেক বেশি। যেভাবে হোক আমার এই টাকা ফেরত চাই।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনেম শাহরিয়ার মুনসহ একাধিক নেতার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কেউ সাড়া দেননি।

হলটির আবাসিক শিক্ষক মুমিত আল রশিদ বলেন, ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। আমাদের হল প্রভোস্টকেও বিষয়টি জানিয়েছেন এবং একটি তালিকা দিয়েছেন। প্রভোস্ট মহোদয় বিষয়টি দেখবেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।