মার্কিন প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসের ওপর প্রবল চাপ

১৮ আগস্ট, ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত তথাকথিত 'পুনঃবিবেচিত প্রস্তাবটি' মেনে নিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আগামী বুধবার চূড়ান্ত দফা আলোচনায় যাতে চুক্তিতে সই হয়, তা নিশ্চিত করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের আজ রোববার ইসরাইল যাওয়ার কথা রয়েছে।

একটি সূত্র জেরুসালেম পোস্টকে জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে 'হামাস কোনো জবাব দিচ্ছে না।' এর কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার 'ইতিবাচক সাড়া দেয়ার জন্য হামাসের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে।'

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট দুটি আরব দেশই আসলে মূল মধ্যস্ততকারীর ভূমিকা পালন করছে।

মার্কিন বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সানি, মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামাল আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। ইসরাইলি আলোচক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মোসাদপ্রধান ডেভিড বারনিয়া।

হামাস প্রত্যক্ষ আলোচনায় নেই। তবে তাদেরকে হালনাগাদ তথ্য দেয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩১ মে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি পুনঃবিবেচিত প্রস্তাব দিয়েছে। এখন এই প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তবে হামাস দাবি করছে, আলোচনায় ইসরাইল নতুন নতুন শর্ত যোগ করে চুক্তিকে অসম্ভব করে তুলছে।ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে, নতুন প্রস্তাবটি ইসরাইলের কাছে গ্রহণযোগ্য।

এতে বলা হয়, হামাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্ততাকারীদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টির ফলে তারা মার্কিন প্রস্তাব বিরোধিতা থেকে সরে যাবে এবং আলোচনায় সাফল্য আসবে।

ইসরাইলের চ্যানেল ১২ অনুযায়ী, নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী নারী সৈন্যসহ নারী পণবন্দীদের প্রথম পর্যায়ে মুক্তি দেয়া হবে। ছয় সপ্তাহের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির সময় ১১৫ জন পণবন্দীর মধ্য থেকে ১৮ থেকে ৩৩ জন মুক্তি পাবে। হামাসের হাতে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আটক দুই ইসরাইলি আভেরা মেনজিসতু এবং হিশাম আল-সৈয়দও প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাবে।

এর বিনিময়ে ইসরাইলও বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।যুদ্ধবিরতির পরবর্তী দুই পর্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।