মমতাকে হত্যার হুমকি, ছাত্র গ্রেপ্তার

১৯ আগস্ট, ২০২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই ছাত্র মমতাকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল। সোমবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনাপূর্ণ পোস্ট দেওয়ার দায়ে কলকাতা পুলিশ রাজ্যটির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্র দ্বিতীয় বর্ষের বিকম শিক্ষার্থী।

এনডিটিভি বলছে, অভিযুক্ত ওই ছাত্রের নাম কীর্তি শর্মা। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের নাম ও ছবি প্রকাশ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তালতলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মূলত ওই ছাত্রের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে সোমবার (১৯ আগস্ট) তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইনস্টাগ্রামে ‘কীর্তিসোশ্যাল’ নামের একটি হ্যান্ডল থেকে তিনি এসব পোস্ট দেন। তার বিরুদ্ধে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের মতো করে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে হত্যা করতে অন্যদের উৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রের পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, ‘ইন্দিরা গান্ধীর মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুলি করুন। আপনি যদি এটি করতে না পারেন তবে আমি হতাশ করব না’। তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সমর্থক এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

পুলিশ আরও অভিযোগ করেছে, অভিযুক্ত ওই ছাত্র ৩১ বছর বয়সী স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তারের পরিচয় এবং ছবিও প্রকাশ করেছে যাকে গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইনস্টাগ্রামে ‘কীর্তিসোশ্যাল’ নামের একটি হ্যান্ডল থেকে আরজি করের ঘটনা সংক্রান্ত একাধিক পোস্ট করেছিল অভিযুক্ত ছাত্র। তিনটি পোস্টে নির্যাতিতার নাম এবং ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই পোস্টগুলো যথেষ্ট আপত্তিকর ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, আরও দু’টি পোস্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। ওই দুই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে অবমাননাকর এবং আপত্তিজনক মন্তব্য করা হয়েছিল।

ইনস্টাগ্রাম পোস্টগুলোর ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযুক্ত ছাত্র যে পোস্টগুলো করেছিল, তা অত্যন্ত উস্কানিমূলক। যেকোনও সময়ে ওই মন্তব্যের ভিত্তিতে সামাজিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা ছড়াতে পারে।