বাদ ফেরদৌস, যুক্ত হতে পারেন মোশাররফ করিম

২০ আগস্ট, ২০২৪

ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে থাকায় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বাদ পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা ‘মীরজাফর চ্যাপ্টার টু’ থেকে। এবার তার জায়গায় যুক্ত হতে পারেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিম। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবিটির প্রযোজক রানা সরকার।

ফেরদৌসের বিকল্প বাংলাদেশ থেকে কে হতে পারেন—জানতে চাইলে রানা সরকার বলেন, ‘মোশাররফ করিমও হতে পারেন। তাকে তো দেখলাম ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে মাঠেও নেমেছিলেন। তা ছাড়া দারুণ একজন অভিনেতা। কলকাতায় অনেকগুলো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তার সঙ্গে এখন আমরা কথা বলতে পারি। দেখা যাক কী হয়।’ 

এর আগে ফেরদৌসকে না রাখার কারণ হিসেবে ঢাকা মেইলকে রানা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের বিশেষত ছাত্রদের আবেগের কথা মাথায় রেখে আমার কোনো সিনেমাতে বাংলাদেশের এমন কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের নেব না যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না।’

এদিকে ছবিতে ফেরদৌস ছাড়াও নাম লিখ্যেছিলেন বাংলাদেশের আরেক চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান। তার ব্যাপারে জানতে চাইলে এ প্রযোজক বলেন, ‘রোশান সিনেমাটি করতে চাইলে থাকবেন।’

‘মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু’ র ভবিষ্যৎ নিয়ে রানা সরকার বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ছবিটি দুই বাংলায় মুক্তি দেব। সেকারণে দুই বংলার শিল্পীদের নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্ত এখন  যে পরিস্থিতি, দুই বাংলা নিয়ে করা সম্ভব হবে কি না বুঝতে পারছি না। তাই এবং অন্য কিছু কারণে কাজ আরম্ভ করতে দেরি করছি। ছবিটি ২০২৩ সালে করার কথা ছিল। কিন্তু নানাবিধ কারণে শুরু হয়নি। দুই বাংলায় মুক্তি দেওয়া না গেলে এর স্বার্থকতা থাকবে না। শুধু পশ্চিমবঙ্গে ছবিটি মুক্তি দেওয়াটা উচিত হবে না। বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হলেই ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনা করব।’

‘মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু’-এ মোক্তার নামের চরিত্রে কাজ করার কথা ছিল ফেরদৌসের। ছবিটির গল্প এরকম মোক্তারের স্ত্রীর নাম সাবেরা। তাদের ঘরে থাকে জাফর নামের এক পুত্রসন্তান। এদিকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে আসা জয়া নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে মোক্তারের। জয়ার ঔরসে জন্ম নেয় তার অবৈধ সন্তান মীর।

মুর্শিদাবাদের রাজনীতি নিয়ে গড়ে ওঠা এ সিনেমায় মীর চরিত্রে রূপদান করার কথা রোশানের।  অর্কদীপ মল্লিকা নাথের নির্মাণে ছবিটিতে আরও অভিনয় করার কথা ছিল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, সৌরভ দাস, প্রিয়াঙ্কা সরকার, অনির্বাণ চক্রবর্তীর।