ফিটকিরি ব্যবহারের ৭ উপায়

২০ আগস্ট, ২০২৪

অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ফিটকিরির ব্যবহার বহু পুরনো। পানি বিশুদ্ধ করার কাজেও রয়েছে এর ব্যবহার। পটাশিয়াম অ্যালুমিনাম সালফেট সমৃদ্ধ ফিটকিরি প্রদাহনাশক এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট জাতীয় একটি উপাদান। ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে টোটকা হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এটি। জেনে নিন ফিটকিরির নানা ব্যবহার সম্পর্কে।

১.ত্বকে সেরাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমতা রাখতে এবং ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে দারুণ উপকারী ফিটকিরি। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের উপরে জমা মৃত কোষ দূর হয়। 

২.ফ্রিজে অনেক সময় দুর্গন্ধ হয়। সেই দুর্গন্ধ খাবারেও ছড়িয়ে পড়ে। ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে একটি বাটিতে ফিটকিরি গুঁড়া করে রেখে দিতে পারেন।

৩.ব্রণ দূর করতে ফিটকিরির সাহায্য নিতে পারেন। এক চা চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে দুই চা চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক চা চামচ ফিটকিরির গুঁড়া মেশান। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করলে দূর হবে ব্রণ।

৪.দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ হয়। ফিটকিরি এই ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানি ফুটান। এক চিমটি লবণ ও ফটকিরির গুঁড়া মিশিয়ে নিন ফুটন্ত পানিতে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে কুলকুচি করুন। নিয়মিত ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে এভাবে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।

৫.ত্বকের বলিরেখা দূর করে ফিটকিরি। এক টুকরো ফিটকিরি পানিতে ভিজিয়ে মুখে ভালো করে ঘষুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

৬.এক মগ পানিতে ১ চা চামচ ফিটকিরি পাউডার মেশান। পা ডুবিয়ে রাখুন পানিতে। চলে যাবে পায়ের দুর্গন্ধ।

৭.রান্নাঘর ঝকঝকে করতেও ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানিতে ফিটকিরির বড় একটি টুকরা মিশিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন রান্নাঘর। ঝকঝকে ও জীবাণুমুক্ত থাকবে রান্নাঘর।