নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি

২০ আগস্ট, ২০২৪

বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের পদত্যাগের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য ধারাবাহিক আন্দোলনের পাশাপাশি আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে, পদে থাকার বিষয়ে অনড় ভিসি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ অফ সিকিউরিটিকে পদত্যাগ করতে হবে বলেও দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ভিসি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে প্রকাশ্যে লড়াই চালিয়ে গেছেন। গত ১৮ জুলাই ও ৫ আগস্ট সরাসরি ভিসির সিদ্ধান্তেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সরকারপন্থীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করছিল। এই দু’দিন অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। যাদের অনেকে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ছে, অথচ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কমছে। দলীয়করণের জন্যই ভালো শিক্ষকরা চলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার পদোন্নতি বঞ্চিত। এই ভিসি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।

তৌসিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ওপর সবচেয়ে বড় আক্রমণটা হয়েছে ১৮ জুলাই ও ৫ আগস্ট। এই দুই দিন পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকেরা নর্থ সাউদের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে। আমরা রক্তাক্ত ছিলাম, বড় অসহায় ছিলাম। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে জীবন বাঁচাতে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যাই; তখনই গেইট বন্ধ করে দেয়া হলো। এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কী হতে পারে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের মৃত্যুর পথ তৈরি করে দিলো। ওই সময় যারা ছিলাম তারা ছাড়াই কেউ-ই বুঝবে না; কী পরিস্থিতি পার করেছি আমরা। এই ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায় আমাদের ভিসি। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসির ‘অ্যাগ্রেসিভ’ নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তায়ন করা হয়েছে।’