চৌদ্দগ্রামে আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

২১ আগস্ট, ২০২৪

সপ্তাহখানেক টানা বৃষ্টি ও সে পানি খাল দিয়ে ঠিকমতো নিষ্কাশন হতে না পারায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ। উপজেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি প্রবেশ করায় চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। কাঁকড়ি নদীতে মাটি কাটায় পাড় ধসের শঙ্কাও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে অবস্থিত খাল ও নদীতে কিছু ব্যক্তি জাল ও বাঁশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে রেখেছে। টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানির চাপে বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এতে করে সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রাতভর বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ মাছের প্রজেক্ট, দীঘি ও পুকুর ভেসে গিয়ে কোটি কোটি টাকার মাছ চলে গেছে। বন্যার পানি উপজেলা পরিষদে এলাকায় ঢুকে করায় নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানি হাসপাতালে প্রবেশ করায় জরুরি ও বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। হাসপাতালে রোগীদের ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হলেও বুক সমান পানি থাকায় রোগীরা বাড়িঘরে ফিরতে পারছে না।

রিমি পোলট্রি ফার্মের মালিক মিজানুর রহমান টিটু বলেন, ‘বন্যার পানি আমার দুটি পোলট্রি ফার্মে প্রবেশ করায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা মূল্যের লেয়ার মুরগি মারা গেছে।’

কে এম ফিশারিজের মালিক মো. খোরশেদ আলম বলেন, আকস্মিক বন্যায় দুটি দীঘিও তিনটি পুকুরে অতিরিক্ত পানি এলে ভেসে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে।