অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে চীন ও কানাডা

২১ আগস্ট, ২০২৪

অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, চীনা রাষ্ট্রদূতকে উচ্চ সুদে নেয়া ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের সুদের হার কমানো প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশকে দেয়া চীনা ঋণের প্রতিশ্রুতি আছে ৭০০ কোটি ডলারের। সব মিলে এসব ঋণ আগামীতে পরিশোধের ক্ষেত্রে বিদ্যমান মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবও দেয়া হয়। এদিকে কানাডা আগের মতোই বাংলাদেশকে সবধরনের আর্থিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা করে যাবে। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশ তার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। এর আগে সচিবালয় উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং কানাডার রাষ্ট্রদূত ড. লিলি নিকোলাসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে চীন এবং কানাডার অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়। তারাও আগ্রহ দেখিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্প না নিলে হতো এমন প্রকল্পও নিয়েছে বিগত সরকার। এতে আমাদের ওপর ঋণের বোঝা পড়েছে। এগুলো দুঃখজনক ব্যাপার। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কিছু ইস্যু আছে, কানাডার সঙ্গে কিছু ইস্যু আছে। এগুলো নিয়ে খুব বিস্তারিত আলোচনা করিনি। অন্যান্য অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রেখে গেছে, সেটি কীভাবে কমাবেন জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ওটা বড় প্রেসার, প্রচণ্ড প্রেসার। কারণ এগুলো দিয়েছে ওরা চুক্তি করে। ডোনারদের বলতে হবে এটি বিরাট প্রেসার। আমরা এগুলো রিভিউ করছি, দেখছি। আমরা এটি নিয়ে সতর্ক আছি। আমাদের নিজেদের মধ্যেও এটি নিয়ে কথা হচ্ছে। এতবড় ঋণের বোঝা নিয়ে শুরু করেছি, আমাদের জন্য খুব কঠিন। ঋণ নিয়ে ফেরতের বিষয় আছে। এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।

এদিকে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এটা তার প্রথম সাক্ষাৎ। আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, চীনা অর্থায়নে বাংলাদেশে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে সেসব নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে। এসব প্রকল্প চলমান থাকবে। পাশাপাশি নতুন করে প্রয়োজনীয় সহায়তার বিষয়েও কথা হয়েছে।