হবিগঞ্জে সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ১১১ জনের নামে হত্যা মামলা

২১ আগস্ট, ২০২৪

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক আহমেদ নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে ১১১ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ শহরতলীর উমেদনগর এলাকার এসএম মামুন মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামুন ওই গ্রামের হাজী লুৎফুর রহমান নানুর ছেলে। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ১৫০ জনকে।

মামলায় জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী, লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খানসহ ১১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা শহরের তিন কোনা পুকুরপাড় এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর প্ররোচনা ও  উসকানিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠিসোঁটা ও অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে সংঘর্ষ বাধে।

সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা গুলি ছুড়লে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। এতে হবিগঞ্জ পিডিবির অস্থায়ী লাইনম্যান ও সিলেট জেলার টুকের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে মোশাহিদ মিয়া, মজিদ মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।

হবিগঞ্জ সদর মডল থানার (ওসি) নুরে আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।