এবারও মধ্যপ্রাচ্য থেকে হতাশ হয়ে ফিরলেন ব্লিঙ্কেন

২১ আগস্ট, ২০২৪

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশা নিয়ে গত বোরবার নবমবারের মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান মার্কিন পররাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

সোমবার তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে রাজি করে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দোহায় যান এ মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক। 

কিন্তু তার সঙ্গে দেখাই করেননি কাতারের আমির। এ কারণে অনিশ্চিত রেখেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করেছেন। 

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দোহা থেকে ওয়াশিংটন ফিরে আসার মাধ্যমে তার এবারের সফর শেষ হয়।খবর আরব নিউজের।

দেশে রওনা করার আগে তিনি দোহায় সাংবাদিকদের বলেছেন, চুক্তিটি দ্রুতই সম্পন্ন করা প্রয়োজন। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে হামাসকেও তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবেই গত রোববার ইসরায়েল ভ্রমণ করেন ব্লিঙ্কেন। এরপর মিসর ও কাতারে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় হামাস প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেনি।

তিনি বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চুড়ান্ত করা এখন ‘সময়ের দাবি’। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে ১০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান হবে বলে আশা ব্লিঙ্কেন এবং অন্য মধ্যস্থতাকারীদের। আলোচনা চলমান থাকবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়।

এদিকে, সর্বশেষ প্রস্তাবে ইসরায়েলের দাবির প্রতিফলনই বেশি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছে হামাস। মঙ্গলবার তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে তারা অনিচ্ছুক বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘বিভ্রান্তিকর’।

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের অন্যতম দাবি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার অগ্রাহ্য করে আসছে দেশটি। ফলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এখনও অধরাই রয়ে গেল।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত কমপক্ষে ৯২ হাজার ৫৩৭ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।