আইন ভেঙে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছিল বিএসএফ, বিজিবির বাধা

২১ আগস্ট, ২০২৪

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের হাড়িপাড়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বিজিবিকে কোনো কিছু না জানিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও গ্রামবাসী বাধা প্রদান করেন। 

বুধবার দুপুরে বেড়া নির্মাণের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাধা প্রদান করে। এতে গোটা দহগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় ভারী অস্ত্র নিয়ে বিএসএফের অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিজিবিও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। এ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

বিজিবি সূত্র জানায়, ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভীম ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরাস গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতভর বিপুল পরিমাণ কাঁটাতারের বেড়া ও নির্মাণ সামগ্রী এনে রাখে। বুধবার সকালে ওই সীমান্তের প্রধান পিলার (ডিএএমপি) ৮ নম্বরের উপপিলার ২৩ থেকে ২৮ নম্বরের শূন্য রেখা সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করতে থাকে। এতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্য রেখা হতে দেড়শো গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম না থাকলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সেটি না মেনে নির্মাণ করতে থাকে। এ সময় নির্মাণ সামগ্রী আনা ও বেড়া নির্মাণের ঘটনায় বিএসএফকে বাধা দেয় বিজিবি। বিএসএফ বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালাতে থাকে। 

এ ঘটনায় বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান নেয়। এ পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বিএসএফ। পরবর্তীতে ভারতীয় বহু বিএসএফের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সীমান্তে অবস্থান নেয়। এ ঘটনায় পুরো দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্ত জুড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা এবং সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আল দীন বলেন, বিএসএফ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ করছিলো। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাধা দিয়েছি। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঘটনাস্থলের পাশে উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে।

দহগ্রাম ইউনিয়নবাসীর নিরাপত্তা ও যানমাল রক্ষায় বিজিবি সবসময় তৎপর রয়েছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন,এ ঘটনা অত্র ইউনিয়নের গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রয়েছে। আমরা বিজিবির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।