গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩৩০৬

২২ আগস্ট, ২০২৪

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজমসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০০০-৩২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে গোপালগঞ্জ সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের কমান্ডার লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয় গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে গত ১০ আগস্ট বিকেল ৫টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। পরে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। খবর পেয়ে মেজর মো. আকিকুর রহমান রুশাদের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জে কর্তব্যরত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক ছেড়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বলেন। এতে আন্দোলনকারীরা সেনাসদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হামলায় সেনাবাহিনীর চার কর্মকর্তাসহ ৯ জন আহত হন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর দুইটি অস্ত্র, একটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এদিকে এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আসামি করায় বিকেল ৫টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের চৌরঙ্গী পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।