সাতক্ষীরায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

২৩ আগস্ট, ২০২৪

সাতক্ষীরার দেবহাটায় যুবককে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৭ নম্বর আদালতে নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে এফআই আর হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সদর সার্কেল সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, এএসপি কালিগঞ্জ সার্কেল মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস, এসআই জিয়াউল হক, শেখ আলী আকবর, তপন কুমার সিংহ, ইউনুস আলী গাজী, পিএসআই তানভীর হাসান, এএসআইএফএম তারেক, এএসআই মদন মোহন অধিকারী, কনস্টেবল দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর, গৌতম সাহা, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, ইসমাইল, মাহাফুজুল হক, আবু জাফর, শহিদুল, রেজাউল, ইব্রাহীম, শাহ জাহান, আবুল হাসেম, হাদিস উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, দলিল উদ্দিন, নুর ইসলাম, মনজুরুল, মেহেদী, দেবহাটা গ্রামের মৃত আজিজ মোড়লের ছেলে নজরুল ইসলাম, দাউদ আলীর ছেলে মুজিবর রহমান, মৃত. মজিদ গাজীর ছেলে মোমিন গাজী, সাংবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান, কামিনী বসুগ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, নংলা গ্রামের এমদাদ বিশ্বাসের ছেলে মাহমুদুল হক লাভলু, ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সামছুর রহমান, মোবারক আলীর ছেলে মনতেজ, মোমিন গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী, মৃত রশিদ বিশ্বাসের ছেলে মোস্তফা বিশ্বাস, মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে মাহমুদ গাজী, আঞ্জু গাজীর ছেলে রমজান গাজী, ছুটিপুর গ্রামের মৃত মাদার গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ, নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাজ আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনি, আহাদ আলী গাজীর ছেলে এবাদুল গাজী, আব্দার আলীর ছেলে সিদ্দিক গাজী, মাঝের আটি গ্রামের হামিজ উদ্দীন গাজীর ছেলে আকবর আলী, মৃত নেছার উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে নাজমুস শাহাদাত (নফর বিশ্বাস), এবাদুল ইসলামের ছেলে জারিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরদারের ছেলে কিলার কামরুল (কেটো কামরুল) এবং দেবহাটার কোমরপুর গ্রামের মৃত মাদার সরদারের ছেলে আবু মুসা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দেবহাটার নাংলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আনারুল ইসলাম নিজের মাছের ঘেরে কাজ করছিলেন। এসময় উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে আনারুল ইসলামকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করলে তিনি জীবনের ভয়ে দৌড় দিলে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এরপরও উল্লেখিত ব্যক্তিদের নির্দেশে মৃত্যু নিশ্চিত না পর্যন্ত নির্যাতন করতে থাকে। অথচ উল্টো মৃত আনারুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন।