২৪ আগস্ট, ২০২৪
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় এবং টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় দুর্গত মানুষ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইমাম সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ ইমাম সমিতির প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত যৌথবিবৃতিতে এ আহ্বান করা হয়।
যৌথবিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় এবং টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যায় কয়েক লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের খোঁজখবর ও সার্বিক সহযোগিতা করছে।
বন্যা দুর্গত মানুষের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাই বন্যাদুর্গতদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে সব ইমামসহ দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়িক ও অন্যান্য সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান করা হয়েছে। একই সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
ছাত্রদের নাম ভাঙিয়ে কতিপয় দুর্বৃত্ত মানুষের জান-মাল ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তাদের ব্যাপারে মসজিদে খুতবার মাধ্যমে দেশবাসীকে সতর্ক করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ইমাম সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট হাফেজ মাওলানা লুৎফর রহমান যৌথবিবৃতিতে বলেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আতিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা এ এইচ এম আবুল কালাম আযাদ বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।
গত ৫০ বছরে এত পানি দেখা যায়নি এ অঞ্চলে। ভারত সরকার এই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের পানিতে ডুবিয়ে মারার ব্যবস্থা করেছে। এ পর্যন্ত অনেক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। শিশুদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের লেলিয়ে দেওয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা ও গুলির কারণে দেশে হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছে হাজার হাজার ছাত্র। বাংলাদেশের সব আলেম-ওলামা, ইমাম-খতিব, ওয়ায়েজদের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবা সংস্থা এবং সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।