হাসিনার পতনের পর একজন হিন্দুও ভারতে আসেনি: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

২৫ আগস্ট, ২০২৪

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর অল্প কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটলেও ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেগুলোকে ফলাও করে প্রকাশ করে। ভিত্তিহীন ছবি-ভিডিওর পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার এবং অনেকেই ভারত চলে যাচ্ছেন বলেও গুজব ছাড়ানো হয়। এসব তথ্য যে মিথ্যা ছিল অবশেষে সেটি স্বীকার করেছেন ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

শনিবার (২৪ আগস্ট) ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে একজন হিন্দুও ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেনি।

বিশ্ব শর্মা বলেন, হিন্দুরা বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু গত এক মাসে ৩৫ জন মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও তাদের লক্ষ্য আসাম ছিল নয়, তারা বেঙ্গালুরু, তামিলনাড়ু, কোয়েম্বাটুরে গিয়ে টেক্সটাইল খাতে কাজ করতে অনুপ্রবেশ করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা শুধু নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ দিতে।

এদিকে, শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর একে একে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক-উপস্থাপক ফারজানা রূপা, ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক এমপি সাদেক খান এবং সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।