২৫ আগস্ট, ২০২৪
বরিশালের উজিরপুরে ফিট ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো: ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।গত শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার সাতলা বাজারের ফিট ব্যাবসায়ী ও তার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এলাকার অধিপাত্য ও পূর্বের শত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধরণা করা হচ্ছে।
নিহত ইদ্রিস হাওলাদার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহিন হাওলাদার, যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার ও চাচাতো ভাই বিএনপি'র ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার বাদী। মৎস্য ঘেরে হামলা ও লুটপাট মামলায় প্রায় ৪ মাস আগে বিএনপি নেতা ইলিয়াস হাওলাদার ও তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার, আসাদ হাওলাদার জেল হাজতে ছিলেন। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ মামলার আসামিরাই দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২৪ আগস্ট দিবাগত রাত ১০টার দিকে ব্যাবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে (২২) নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে সাতলা ব্রিজের পশ্চিম পাড় অতিক্রমের সময় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ইদ্রিস ও তার চাচাতো ভাই সাগরকে এলোপাথড়িভাবে কুপিয় জখম করে। দুর্বৃত্তরা ব্যাবসায়ী ইদ্রিসের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
রাতেই স্থানীয় লোকজন আহত ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হলে রাতে সেখানেই ইদ্রিস হাওলাদার মারা যান। গুরতর আহত সাগর হাওলাদার রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত ইদ্রিসের স্ত্রী অভিযোগ করেন, গত কয়েক দিন ধরে মাছের ঘেরে নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইদ্রিস হাওলাদারের দায়ের করা মামলার আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল সে বিষয়টি তিনি পরিবারকে জানিয়ে ছিলেন।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো: জাফর অহম্মেদ বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের টিম মাঠে রয়েছে। নিহতদের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা দায়ের করা হবে। নিহত দু’জনের লাশ বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।