ভুটানে রেজিস্ট্রেশন জটিলতায় বাংলাদেশ অধিনায়ক

২৫ আগস্ট, ২০২৪

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন প্রথমবারের মতো মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এই টুর্নামেন্টে এন্ট্রিই দেয়নি। বাংলাদেশের কোনো ক্লাব না খেললেও বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার জন্য ভুটানের থিম্পুতে গেছেন।

আজ ভুটানের থিম্পু রয়েল কলেজ ক্লাবের প্রথম ম্যাচ ইরানের বাম খাতন এফসির সঙ্গে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন রেজিস্ট্রেশন জটিলতায় খেলতে পারেননি। থিম্পু থেকে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, 'খেলোয়াড়দের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ক্লাবের। ভুটানের ক্লাবটি আমার রেজিস্ট্রশন সঠিকভাবে করতে পারেনি তাই আমার আজ খেলা হচ্ছে না। পরবর্তী ম্যাচের জন্য চেষ্টা করছে।'

ভুটানের ক্লাবের পরবর্তী ম্যাচ হংকংয়ের কিতসি স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। সাবিনা ও ভুটানের ক্লাব আশাবাদী হলেও বাস্তবিক অর্থে ঐ দিনও খেলা সম্ভব না বাংলাদেশের অধিনায়কের। কারণ এই টুর্নামেন্টের জন্য এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ হয়েছে ১৫ আগস্ট। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না হওয়ায় খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে সাবিনার।

এ প্রসঙ্গে সাবিনা বলেন, 'ভুটানের ক্লাবটি এই প্রথমবারের মতো বিদেশি খেলোয়াড় নিয়েছে। তারা আসলে বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনের বিষয়ে একেবারেই অনভিজ্ঞ। এজন্যই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমার জন্য বিষয়টি বিব্রতকর তবে তারা এখনো চেষ্টা করছে।'

রয়েল থিম্পু কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা উগাইয়ের সঙ্গে সাবিনার বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। ভুটানের একই ক্লাবে সাবিনা ছাড়াও বাংলাদেশের আরো তিন ফুটবলার মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা ও মারিয়া মান্ডা রয়েছেন। তাদের রেজিস্ট্রেশন সমস্যা হয়নি শুধু সাবিনার হয়েছে।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, ঐ তিন জন খেলোয়াড় বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোনো লিগে খেলেনি। তাই তাদের ছাড়পত্রগত কোনো বিষয় ছিল না। কারণ সাবিনা কয়েক মাস আগে ভারতের নারী লিগে কিক স্টার্টের হয়ে খেলেছিলেন। সেই ক্লাবের অনাপত্তি পত্র প্রয়োজন ছিল ভুটানের ক্লাবে রেজিস্ট্রেশনের সময়। ভুটানের ক্লাব ১৫ আগস্ট পেরিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি অনুধাবন করেছে। দুই দিন আগে বাফুফের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। অবশ্য এখানে বাফুফের অনুরোধ ছাড়া কিছু করার নেই।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার সাবিনার জটিলতা সম্পর্কে বলেন, 'আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ অর্থে ভুটানের ক্লাবের উপর। ডেডলাইনের পর তারা বিষয়টি জেনেছেন এবং আমাদের জানানোর পর আমরাও অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছি। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তারাও অনলাইন সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারছে না।'

সাবিনা ভারতের কিকস্টার্টের হয়ে অবশ্য সম্পূর্ণ মৌসুম খেলেননি। মায়ের অসুস্থতার কারণে মাঝ পথে ফিরে এসেছিলেন। এরপর ঢাকায় নাসরিন স্পোর্টিংয়ের হয়ে খেলেন। বাংলাদেশ নারী লিগে অবশ্য দেশি খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র প্রয়োজন নেই বলে তথ্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। সাবিনার সঙ্গে একই দলে ছিলেন মারিয়া, ঋতুপর্ণা ও মনিকা। তারা বাংলাদেশেই এবং অ্যামেচার লিগে খেলায় জটিলতায় পড়েননি।