ডায়রিয়া ও আমাশয় প্রতিরোধ করে বেল

২৬ আগস্ট, ২০২৪

গ্রীষ্ম আসতে আর দেরি নেই। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। এ গরমে ক্লান্তি দূর করতে কিংবা নানা রোগের উপসম ঘটাতে বেলের জুড়ি নেই। বেল গাছের, পাতা, ফল ও ছালে আছে ঔষধি বহুগুণ। কচি বেল খাওয়াই উত্তম। তবে পাকা বেলও বেশ উপকারী। 

প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের শাঁসে পাওয়া যায় : পানি ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮-২.৬২ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ০.২-০.৩৯ গ্রাম, শর্করা ২৮.১১-৩১.৮ গ্রাম, ক্যারোটিন ৫৫ মিলি গ্রাম, থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেবিন ১.১৯ মিলিগ্রাম, এসকরবিক এসিড ৮-৬০ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম ও টারটারিক এসিড ২.১১ মিলিগ্রাম। 

বেলের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে: 

* পাকস্থলীর আলসার, পাইলস রোগে উপকারী। 
* এটি শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। 
* অন্ত্রের কৃমিসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করে ডায়রিয়া এবং আমাশয় প্রতিরোধ করে। 
* বেলের ল্যাক্সিটেভ গুণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং আমাশয় রোগে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
* বেল হজমেও উপকারী। 
* বেলে ন্যাচারাল ডাই ইউরেটিক আছে, যা শরীরে পানি জমা প্রতিরোধ করে। 
* বেলপাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি কমে যায়। 
* এ ছাড়া ভিটামিন-এ মিউকাস মেমব্রেনের গঠন এবং চামড়ার ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।