বেলুচিস্তানে জঙ্গি হামলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৭৩

২৭ আগস্ট, ২০২৪

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি হামলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ৭৩ জন। সোমবার (২৬ আগস্ট) কর্তৃপক্ষ জানায়, জঙ্গিরা পুলিশ স্টেশন, রেললাইন এবং হাইওয়েতে হামলা চালায়। পরে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা অভিযান চালায়। হামলায় ২১ সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছে। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, ‘এই হামলাগুলি পাকিস্তানে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা।’

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, জঙ্গিদের হামলায় ৩৮ জন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন।

রবিবার রাতে সশস্ত্র জঙ্গিরা মহাসড়কে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে, তাদের পরিচয় পত্র দেখে অন্তত ২৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়া তারা অন্তত ৩৫টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট আইয়ুব আচাকজাই।

ওই এলাকার ডেপুটি কমিশনার হামিদ জহির বলেন, জঙ্গিরা শুধু যাত্রীদেরই হত্যা করেনি। কয়লা বহনকারী ট্রাকের চালকদেরও হত্যা করেছে।

বিশেষ করে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের কর্মীদের হত্যা করেছে তারা। পাঞ্জাবীদেরকে সম্পদের শোষক গোষ্ঠী হিসেবে মনে করে জঙ্গিরা।

প্রাদেশিক রাজধানী থেকে পাকিস্তানের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী রেলওয়ে সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এতে কোয়েটার সঙ্গে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হামলাস্থল থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এছাড়া বেলুচিস্তানের সবচেয়ে কম জনবহুল এলাকার একটি পুলিশ ও নিরাপত্তা স্টেশনে হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে হত্যা করেছে তারা।

এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। আগামীতে আরও হামলার হুমকি দিয়েছে তারা।

এদিকে সোমবার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার রজমাক এলাকায় সাবেক জঙ্গি কমান্ডারকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলায় চারজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।

সাবেক ওই জঙ্গি কমান্ডার উসমান ওরফে লিওয়ানের গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ওই কমান্ডার অক্ষত রয়েছে।