কুমিল্লার ৭ উপজেলায় ১০ লাখ মানুষ বন্যাদুর্গত, প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা

২৮ আগস্ট, ২০২৪

নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ও ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে কুমিল্লার জেলায় ১০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছেন।এর মধ্যে, বুড়িচং উপজেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১ লাখ ৭৫ হাজার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার, লাকসামে ১ লাখ ৫০ হাজার, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার এবং বরুড়ার ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।

১৯ আগস্ট গোমতীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বুড়িচং। সেই পানি ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলায় ছড়িয়ে বেশিরভাগ গ্রাম ডুবে যায়। অপরদিকে মুহুরী নদীর পানিতে ডুবেছে ফেনী। একই পানিতে ডুবেছে চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও বরুড়া উপজেলার বেশিরভাগ অংশ।

বুড়িচংয়ের ৪৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬ হাজার ২১১ জন আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার লোক। ব্রাহ্মণপাড়ায় ২৮ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢলের পানিতে ডুবে গেছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১০ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম। লাকসামের আট ইউনিয়নের সব কটি প্লাবিত হয়েছে। সেখানে ৮২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আছেন।

মনোহরগঞ্জের ডাকাতিয়া নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে এই উপজেলার বেশিরভাগ গ্রাম। নাঙ্গলকোট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি আছেন।