বরগুনায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৬

২৮ আগস্ট, ২০২৪

বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের রুরিয়ার খেয়াঘাট নামক স্থানে বিএনপির পাল্টাপাল্টি চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে ও আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপির উপজেলা সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা ও বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টি অভিযোগে রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- যুবদল কর্মী মো. আজাদ (৪৫), শ্রমিক দল নেতা মো. মিলন (৩৬), মো. মিজানুর রহমান (৪০), বিএনপির কর্মী মো. হুমায়ুন কবির মৃধা (৩৫), মো. রেজাউল কবির (৩০) ও মজিবর রহমান আকন (৪৫)। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, জালাল ফকিরের নেতৃত্বে আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট স্থানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ পেয়ে আমি বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে ব্যাবসায়ীদের চাঁদা বন্ধের নির্দেশ দেই। এসময় বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী রাহাত, মোকলেছ, আমিনুল, মোমেন, মামুন সিকদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক রামদা লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের ৩ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে জিনুর রহমানের হাত ভেঙে গেছে।

বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকির অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকালে বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে একদল বিএনপির কর্মী নিয়ে বুধবার সকালে খেয়াঘাটের মুদি দোকানদার মো. হুমায়ুন কবিরের দোকানে চাঁদাবাজি করতে যায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার দোকান ভাঙচুরসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করে।

আমতলী থানার ওসি তদন্ত মো. আমির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো পক্ষের থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।