নাটোরে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

৩০ আগস্ট, ২০২৪

নাটোরের নলডাঙ্গায় ১৩ বছরের কিশোরী মরিয়ম খাতুন লাবণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবু শেখ ওরফে কালু (৪৯) এবং রইস উদ্দিন সরদার (৬২) নামে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। এই মামলায় পাঁচজন অভিযুক্ত সোহাগ, রাকিব হোসেন, আলামিন, জিয়া ও জামালকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু শেখ নওগাঁ জেলার রাণী নগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মৃত জাহের আলীর ছেলে এবং রইচ উদ্দিন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত বাবু শেখের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৯ নারীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

মামলার বরাতে আনিসুর রহমান বলেন, নলডাঙ্গার খাজুরা গ্রামে  ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ১৩ বছরের লাবণী। সকালে ঘুম থেকে জেগে তার মা দেখতে পায় তার মেয়ের ঘরের দরজা খোলা। পরে ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখে তার শিশু কন্যার মুখের ওপর বালিশ চাপা দেওয়া ও শরীরের জামা কাপড় এলামেলো পড়ে রয়েছে। এ সময় তার চিৎকারে শিশুটির বাবাসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে মেয়েকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিন মাস পরে ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নলডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবু তাহের ওপরিদর্শক মো. ওয়াজেদ আলী খান অভিযোগপত্র জমা দিলে দীর্ঘ ১০ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ  শষে আদালতের বিচারক এই রায় দেন।

রায়ে আনোয়ার হোসেন বাবু ও রইচ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। একই সাথে এই মামলায় কোনোভাবে জড়িত না থাকায় ৫ জনকে বেখসুর খালাস প্রদান করে আদালত।