জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া এক্স বন্ধ হয়ে যেতে পারে

৩০ আগস্ট, ২০২৪

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একজন আইনি প্রতিনিধির নাম জানাতে এক্স’কে (সাবেক টুইটার) নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ মানেনি ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাটি। ফলে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স।

ব্রাজিলের আইন অনুসারে সব প্রযুক্তি সংস্থাকেই তাদের দেশে একজন প্রতিনিধি রাখতে হবে, যিনি আইনগত বিষয়গুলো দেখভাল করবেন। সেই প্রতিনিধিকে আইনগত বিষয়গুলো জানানো হবে, যাতে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু চলতি মাসে এক্স ব্রাজিলে তাদের আইনি প্রতিনিধিকে সরিয়ে দেয়। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মোরায়েস ওই প্রতিনিধিকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছিলেন।

পরে আদালত এক্স’কে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন নতুন প্রতিনিধির নাম জানানোর জন্য। তখনই বলে দেওয়া হয়েছিল, নির্দেশ পালন না করলে ব্রাজিলে এক্স বন্ধ করে দেওয়া হবে।

কেন এই সংঘাত

এক্স’র মালিক ধনকুবের ইলন মাস্কের দাবি, ব্রাজিলিয়ান বিচারপতি ‘স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী’র মতো ব্যবহার করছেন। এক্স-এর একটি পোস্টে মাস্ক লিখেছিলেন, মোরায়েস হলেন ‘বিচারপতির ছদ্মবেশে এক জঘন্য় অপরাধী’।

বিচারপতি মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য ছড়ানোর জন্য এক্স-এ কিছু অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে পারেন কি না তা নিয়েই মূলত বিতর্ক দেখা দেয়। মাস্কের মতে, এ ধরনের নির্দেশ সেন্সরশিপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বলা হয়েছিল, তার অধিকাংশই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডানপন্থি নেতা জেইর বোলসোনারোর অনুসারীদের। তাদের মধ্যে অনেকে দাবি করেন, ২০২২ সালের নির্বাচনে বোলসোনারো হারেননি।

মাস্ক এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তিনি এক্স-এ আবার ওইসব অ্যাকাউন্ট চালু করবেন। তার অভিযোগ, বিচারপতি মতপ্রকাশের অধিকারে বাধা দিচ্ছেন।

এরপরই বিচারপতি মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেন। এছাড়া, মাস্ক যেভাবে বাধা দিচ্ছেন, তা নিয়েও আলাদা তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

এদিকে, আইনি প্রতিনিধি নিয়োগের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এক্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মনে করে, ব্রাজিলে তাদের সেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, অন্যদের মতো আমরা গোপনে বেআইনি নির্দেশ মানবো না। ব্রাজিলসহ গোটা বিশ্বে মতপ্রকশের স্বাধীনতা রক্ষায় দায়বদ্ধ এক্স।