বগুড়ায় বিএনপি নেতা এসএম তাজুল বহিষ্কার

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম তাজুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম তাজুল ইসলামকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন অভিযোগে বগুড়ায় ইতোপূর্বে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১১ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সতর্ক করা হয়। তবে এই প্রথম বিএনপির কোনো নেতাকে বহিষ্কার করা হলো। তাজুল ইসলাম বিএনপির শিবগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিল।

বগুড়া জেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি শিবগঞ্জে দলীয় নেতাকর্মীদের সভার আয়োজন করেন। সভায় তিনি বক্তব্য রাখার একপর্যায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে তাজুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমের পরামর্শ ছাড়া তারেক রহমান কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না।’

শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম বলেন, ওই বক্তব্যের পর পরই তাজুলকে বহিষ্কারের জন্য দলটির জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়।

বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলা কমিটি থেকে পাঠানো তাজুল ইসলামের বহিষ্কারের সুপারিশটি দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকেই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩০ আগস্ট বিকেলে দলের রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার দলীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে বলেছেন, দলে কোনো অপরাধীর স্থান হবে না। দলের কেউ যদি কোন অপকর্মে জড়িত হয় তাহলে তাকে শুধু বহিষ্কারই নয় বরং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে মামলা দেয়া হবে।